রাতুল হাসান, কয়রা উপজেলা প্রতিনিধি:

খুলনা জেলার কয়রা থানা অত্যন্ত দূরবর্তী এরিয়া। খুলনা সদর থেকে প্রায় একশ কিলোমিটার দূরে সুন্দরবনের কোলঘেষে অবস্থিত কয়রা থানা। রাস্তাঘাট খুব খারাপ থাকায় হাজার-হাজার মানুষের ভোগান্তি পোহাতে হয়। কয়েক হাজার স্টুডেন্ট কয়রা থেকে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে। তাছাড়া কর্মজীবী মানুষ ও কর্মের টানে বাহিরে যাতায়াত করতে হয়। কয়রা থেকে খুলনায় যাতায়ত মাধ্যমে হলো দুটি উপায়ে, মোটর সাইকেল এবং বাস। কয়রা প্রত্যন্ত গরিব এলাকা হওয়ায় অধিকাংশ ছাত্র-শিক্ষক- জনতা বাসে যাতায়ত করে। কিন্তু কয়রা থেকে খুলনার উদ্দেশ্যে যে বাসগুলো যায় সেগুলোর সিট খুবই অনুন্নত। কোন গাড়ির ফিটনেস নেই। অধিকাংশ ড্রাইভার যথেষ্ট অভিজ্ঞ নয়। যারা কারণে যাত্রীদের ভোগান্তি দিন-দিন বেড়েই চলছে।

প্রত্যক্ষদর্শী একজন শিক্ষার্থী ইসমাইল হোসেন বলেন – গত কয়েকদিন আগে আমি পরিক্ষা দেওয়ার জন্য কয়রা থেকে গাড়িতে উঠি, গেটলক গাড়ি হিসবে জানতাম কিন্তু দেখি প্রত্যেক স্টপে বাস থামে। তিন ঘন্টার পথ প্রায় পাঁচ ঘন্টা লেগে যায়। যার কারণে আমার পর্যাপ্ত টাইম নষ্ট হয়।

এছাড়া খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সুরাইয়া খাতুন বলেন- বাসের ভিতর বৃষ্টির সময় ছাতাও ওপেন করতে হয়, জানালা ভাঙা, বিভিন্ন ভাবাে পানি আসে বাসের ভিতর।

এ বিষয় কয়রা ছাত্র প্রতিনিধি মোশাররফ হোসেন রাতুল বলেন- গত মাসে ডিসি অফিসে বাস মালিক সমিতির সাথে কয়েক দফা বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে সীদ্ধান্ত হয় প্রত্যেক ফিটনেসহীন বাস বন্ধ করতে হবে, সীট উন্নত ও আরামদায়ক করতে হবে, দুইজন করে স্টুডেন্টদের হাফ-ভাড়া নিতে হবে। এবং কয়রা থেকে পাইকগাছা সহ কয়েকটি মেইন পয়েন্ট ছাড়া কোন পয়েন্টে বাস থামানো যাবে না। কিন্তু আমরা লক্ষ্য করছি ডিসি অফিসের সীদ্ধান্ত অমান্য করে বাস-মালিক সমিতি ইচ্ছে মত চলছে। তাঁরা আইনের তোয়াক্কা না করে এখনো স্বৈরাচারী মনোভাব দেখাচ্ছে, বিষয়টা দুঃখজনক। আমরা চাই তারা অচিরেই গেটলক সিস্টেম চালু করুক। জনগণের ভোগান্তি দূর করে জনমনে স্বস্তি ফিরে আসুক।

এ বিষয় কয়রা বাস-মালিক সমিতির সভাপতি জুয়েল রানা বলেন- এ বিষয়ে আমাদের নলেজে নেই, সে সেময় যে সীদ্ধান্ত হয়েছিলো সেটা আমাদের জানানো হয়নি। খুলনা জেলা বাস-মালিক সমিতির সাথে কথা বলে দ্রুত ব্যবস্থা নিবো।